মহামারির আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও প্রাণঘাতী রোগ করোনায় বিশ্বজুড়ে অব্যাহত আছে দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু। তবে প্রথম দুই বছর, অর্থাৎ ২০২০ ও ’২১ সালের তুলনায় চলতি বছর অনেকটাই কমে এসেছে এ রোগে আক্রান্ত হওয়া ও প্রাণহানির হার।
শুক্রবার বিশ্বে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৮৪৮ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় ভুগে মৃত্যু হয়েছে ৪৮৬ জনের। এছাড়া এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৬১৮ জন।
মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
শুক্রবার করোনায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক আক্রান্ত-মৃত্যুর হিসেবে শীর্ষে ছিল জাপান; দেশটিতে এদিন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৪৫৯ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ১৮৮ জন।
জাপান ব্যতীত আরও যেসব দেশে এই দিন সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব হলো— পেরু (মৃত ৮২ জন, নতুন আক্রান্ত ১৮৭ জন), তাইওয়ান (মৃত ৭৩ জন, নতুন আক্রান্ত ২২ হাজার ৯৯১ জন), রাশিয়া (মৃত ৪৫ জন, নতুন আক্রান্ত ৯ হাজার ৪১০ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ ১২ হাজার ৩৭২ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার ৭০৯ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৪১ হাজার ৬৬৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।